শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা কপালপোড়া জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত। কালের খবর মাটিরাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির নেতৃত্বে জামাল-মুকুট। কালের খবর তিল ধারণের ঠাঁই নেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। কালের খবর আমতলীতে ভূমি দস্যুর অত্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন। কালের খবর নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাব নির্বাচন সম্পন্ন : সালাম সভাপতি, ছনি সম্পাদক নির্বাচিত। কালের খবর সীতাকুণ্ডে জামায়াত নেতার ওপর হামলা, প্রতিবাদে মিছিল সমাবেশ। কালের খবর আমাকে ও আমার মেয়েদের কুপ্রস্তাব দেয় রাজ্জাক। কালের খবর কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। কালের খবর ঈশ্বরগঞ্জে কালভার নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ। কালের খবর চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের অর্থনীতি। কালের খবর
“সমালোচনার মুখে আমার রাজনৈতিক জীবন” : আমিনুল ইসলাম। কালের খবর

“সমালোচনার মুখে আমার রাজনৈতিক জীবন” : আমিনুল ইসলাম। কালের খবর

।। আমিনুল ইসলাম।। কালের খবর :

জীবনটা নদীর স্রোতের মত বহমান। হাসি কান্না, সুখ দুঃখ, বিরহ বেদনা এবং পাওয়া না পাওয়া পৃষ্ঠ তলে মিশ্রিত এই জীবন। তারপরও মানুষ এগিয়ে চলে সমুখ পানে দুর্বার গতিতে নতুন কোন আলোর খুঁজে। যে আলো তাকে পথ দেখাবে নৈতিকতা এবং আদর্শের দিকে।

* আমার বোধ শক্তি, আবেগ অনূভুতি, বিশ্বাস এবং আস্থার জায়গা শুধু একটিই লাল সবুজের পতাকা,স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধু। আর বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ।

** ১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জন্ম হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের হাত ধরে।সেই থেকে আজ অব্দি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে অনেক ঘাত প্রতিঘাত সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়।যা কিনা দৃশ্যমান হয় অনেক বীরদের জীবন কাহিনী আবার অনেক বেঈমানের বেঈমানী কাহিনী।

**বিশেষ করে ৯০ দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে আজ অব্দি জামাত, বি এন পি দেশ ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে বাচানো আন্দোলনে কিংবা ১/১১ মমতাময়ী মায়ের মুক্তি আন্দোলনে যেই ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ নিজের জীবন বাজি রেখে মাঠে ছিলো আজ তারা মূল্যহীন তথা জেলখানায় তাদের ঠিকানা।এই দায় কার রাষ্ট্রের নাকি রাজনৈতিক নীতি নির্ধারকদের?

** আজ আওয়ামী পরিবারে ষড়যন্ত্রকারীদের অনুপ্রবেশ হচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেছেন রাজনৈতিক এখন গরীবের বউ বাউজ হয়ে গেছে।১৯৯১ থেকে ২০১৯ ইং সাল পর্যন্ত ছয়টি সংসদ নির্বাচনে মিনিমাম ১০০ করে সংসদ সদস্য হয় শিল্পপতি কিংবা আমলা মিলে।তাদের মূল উদ্দেশ্য থাকে ব্যক্তি ক্ষমতাসহ নিজের পকেট ভারি করা।উন্নয়ন কিংবা দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড ভেস্তে যাক তাদের কোন আশে যায় না।তবে তাদেরকে মাঝে মাঝে জামাত শিবিরের চেয়েও ভয়ংকর মনে হয়।

**সারা দেশের ন্যায় নবীনগর রাজনৈতিকতেও সাংগঠনিক ভাবে অন্ধকারের কালো ছায়া নেমে আসছে।যেখানে ত্যাগীরা মূল্যহীন হয়ে পড়ছে আর জামাত বি এন পি সহ নব্য আওয়ামীলীগেরা চাঙ্গা হয়ে উঠছে।আজ তারা শাসন শোষণ করছে আমাদের দুর্দিনের কান্ডারি কর্মীদেরকে।আর এটাই নাকি তাদের ভাগ্য।তার জন্য কে দায়ী? কে নিবে তার দায়ভার?

** বর্তমানে নবীনগর রাজনৈতিকতে চলছে তৈলের মহড়া। কিছু কিছু নেতাদের চরিত্রটা এমন হয়ে উঠছে যেখানে সুবিধা বেশি সেখানে তাদের বিচরণ। তারা সব ঘাটে স্টুপিজ দেয়।তাদের রাজনৈতিক অভিভাবক একাধিক থাকে।তারা নিজের আত্মসমালোচনা না করে অন্যের সমালোচনা ব্যস্ত থেকে নেতার কাছ থেকে নিজের সুবিধা হাতিয়ে নেয়।

** আমি মনে করি আগে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে চিন্তা এবং মননশীল দিয়ে, যেখানে থাকবে সম্মান এবং আস্থার অভাবনীয় শক্তি। সেখানে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে একজন দক্ষ সাংগঠনি এবং পেশাদারিত্ব রাজনৈতিক নেতাকে।যিনি সারা জীবন পেশা এবং নেশার মত তার কর্মীদের ধরে রাখেন।কে হতে পারে নবীনগর রাজনৈতিকতে এই মহান নেতা?

**তবে হ্যা,২০০১ সালের পর যে সমস্ত নেতারা নবীনগর আওয়ামী পরিবারে আবির্ভাব হয়ে এম পি হয়েছেন তারা কেউ পেশাদার রাজনৈতিক বিধ না।তারা শিল্পপতি কিংবা অন্য পেশায় জড়িত।তাই আসুন আর কোন অপেশাদার নয় পেশাদার রাজনৈতিক ব্যক্তিকে নিয়ে আগামী দিনগুলোতে এগিয়ে চলি।তাহলে সেটা হবে তৃনমুল নেতাকর্মীদের আবেগ অনূভুতির জয়।

** পরিশেষে আমি একটি কথাই বলবো জীবনের অনেক নেতার দর্শণ পেয়েছি কিন্তু কাউকে নিজের রাজনৈতিক অভিভাবক মনে করতে পারি নাই। আজ আমি এমন একজন নেতার দর্শন পেয়েছি যাকে আমি কখনও নেতা বলি না তিনি আমার ভাই এবং রাজনৈতিক অভিভাবক। যিনি প্রতিটি সেকেন্ড শুধু রাজনৈতিক আর তৃনমুল নেতাকর্মীদের নিয়ে ভাবেন এবং স্বপ্ন দেখেন,স্বপ্ন দেখান।তিনি হলেন নবীনগরের মাটি ও মানুষ, তৃনমুলের আস্হা ও ভরসা ঠিকানা এবং লাখো মানুষের প্রাণের স্পন্দন আলহাজ্ব এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ ভাই।

*** তাই আসুন আগামী দিনে নবীনগর রাজনৈতিকে সম্প্রসারিত করতে, মানুষের কল্যাণে কিংবা তৃনমুল কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন ফিরে আনতে আলহাজ্ব এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ ভাইয়ের নেতৃত্বে বা তার নির্দেশে আমরা মাঠে কাজ করে সাংগঠনিক ভাবে দলকে শক্তিশালী করি।যেখানে কোন অপশক্তি মাথা চাড়া দিতে পারবে না।

জয় হোক সাঈদ ভাইয়ের, জয় হোক নবীনগর বাসীর,    ।  জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com